ঐতিহাসিক পটভূমি যুগে বিভিন্ন রাজবংশের শাসনের ক্রমঃ বিবর্তনের বৈশিষ্ট্যে অলংকৃত সম্ভবতঃ মহারাজাধিরাজ শশাংকের রাজত্বকালে ইহা প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইতিহাস বেত্তাগণ অনুমান করেন যে, আনই ভৌমিক বলিয়া প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের সমস্ত রাজা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ভালুকা-গফরগাঁও ও শ্রীপুরের উত্তারাঞ্চলের রাজা ছিলেন। তাহার রাজবাড়ি ছিল ফুলবাড়িয়া বানার নদীর তীরে। মহারাজা ধীরাজ শশাংকের পর বাংলাদেশে গোলাপ নামে এক রাজা, বৌদ্ধ রাজত্বের স্থাপন করেন। ঐ সময় হতে সম্ভবতঃ এই অঞ্চলে বৌদ্ধ রাজত্বের সৃষ্টি হয়। ১০৫০ সালে বিখ্যাত সুফী সাধক শাহ সুলতান কমরুদ্দিন রুমী যখন নেত্রকোনায় মদনপুরে আসেন, প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের সমস্ত রাজা মদন গারোর রাজ্যে আস্তানা স্থাপন করেন। এর প্রায় অর্ধ শতাব্দীর পর ভাওয়ালের সুফী সাধক শাহ কারফরমা শাহ ইসলামের মহান বাণী নিয়ে ভাওয়ালে আসেন। তখনও শ্রীপুর এলাকা দুইটি ছোট বৌদ্ধ রাজত্বে বিভক্ত ছিল। একজন ইন্দ্রপাল রাজধানী ইন্দ্রপুরে যা আধুনিক মাওনার নিকট অবস্থিত । অপরজন ভবপাল । তার রাজধানী ছিল রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাইশুখানিয়া গ্রামে। সম্ভবত: অষ্টম শতাব্দীতে রাজা ইন্দ্রপাল ইন্দ্রপুর ও তার আশেপাশের এলাকা নিয়ে স্বাধীন রাজ্য গঠন করেন। এটা আদিত্যপালের দীঘি নামে পরিচিত। বর্তমান প্রচলিত নাম ওয়াদ্দা দীঘি। তৎপুত্র রাজা শ্রীপালের নাম অনুসারে শ্রীপুর মৌজার নামকরণ করা হয়। মৌজার নাম অনুসরণ করে শ্রীপুর উপজেলার নামকরণ করা হয়। অভিধানিক অর্থে শ্রী-অর্থ সৌর্ন্দয্য,পুর -অর্থ নগরী অর্থাৎ সৌন্দর্য্যের নগরী।শ্রীপুর উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিঃমিঃ উত্তরে কাওরাইদ ইউনিয়ন অবস্থিত। প্রাগ ঐতিহাসিক কাল থেকে অত্র ইউনিয়ন ব্যবসা-বানিজ্যে দ্বারা অগ্রগামী। এখানে ঐদিহাসিক পুরাতন একটি বিদ্যালয় রয়েছে। আছে একটি প্রাচীন কাচারী ঘর। তরগাও ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন।এই ইউনিয়নে জন্মগ্রহন করেছেন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস